মেরুদন্ড, হাঁড়জোড়া, বাত-ব্যথা, বিকলাঙ্গ বিশেষজ্ঞ অর্থোপেডিক্স, ট্রমা, জয়েন্ট রিপ্লেসমেন্ট ও স্পাইন সার্জন

ডাঃ মোঃ ফরিদুল ইসলাম 

এমবিবিএস; বিসিএস (স্বাস্থ্য); এমএস (অর্থো.সার্জারী) 

এফআইসিএস (অর্থোপেডিক্স), এফএসিএস (অর্থোপেডিক্স) 

পিএইচডি (স্পাইন সার্জারী, এওএ ফেলো-সুইজারল্যান্ড, এপিএসএস ফেলো-বিডি

বিশেষ প্রশিক্ষণ:

জয়েন্ট রিপ্লেসমেন্ট ও স্পাইন সার্জারী 

(ইন্ডিয়া, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলংকা) আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ, নোয়াখালী। 

 

মেম্বার অফ: 

-বাংলাদেশ অর্থোপেডিক্স সোসাইটি (BOS) 

-এ ও স্পাইন এন্ড ট্রমা (সুইজারল্যান্ড) 

-এশিয়া প্যাসিফিক অর্থোপেডিক্স এসোসিয়েশন (APOA)

– এশিয়া প্যাসিফিক স্পাইন সোসাইটি -(APSS) 

– ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি অফ অর্থো

বিএমডিসি রেজিঃ নং এ-৩৬০৬০

শিরোনাম: মানবতার মশালবাহী – ডাঃ ফরিদুল ইসলাম
একটি প্রত্যন্ত গ্রাম, লেবুতলা , যশোর। কৃষকের ঘরে জন্ম নেওয়া এক শিশুর চোখে ছিল স্বপ্ন, অন্তরে ছিল জেদ। বাবা মরহুম মোঃ আরশাদ আলী মোল্লা ছিলেন কৃষক। মা জহুরা বেগম সন্তানের ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য ছিলেন অবিচল। সেই শিশুটি বড় হয়ে একদিন হয়ে উঠবেন দেশের খ্যাতিমান স্পাইন সার্জন, কে জানত তখন?
শৈশব কেটেছে কষ্টে, সংগ্রামে। লেবু তোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ১৯৯২ সালে এসএসসি পাশ করেন। এরপর শহীদ সিরাজউদ্দীন হোসেন ডিগ্রী কলেজ থেকে এইচএসসি। উচ্চশিক্ষার জন্য ভর্তি হলেন শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজে, বরিশালে। ২০০২ সালে এমবিবিএস পাশ করলেন। এম এস সম্পন্ন করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে । 
স্পাইন স্পেশালিস্ট হবার কারণ- ছিল ইন্টার্নশিপ চলাকালীন তিনি দেখলেন স্পাইন জনিত রোগীদের অসহায়ত্ব। কষ্টে জর্জরিত মানুষ আত্মহত্যার কথাও বলেন! সেই মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নিলেন—তিনি হবেন স্পাইন সার্জন। দেশ-বিদেশে ঘুরে, আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি রপ্ত করলেন।

বর্তমানে কর্মরত আছেন-

নোয়াখালী মেডিকেল কলেজে অধ্যাপনার দায়িত্বও পালন করছেন।

পাশাপাশি, মাইজদী প্রাইম হাসপাতালে অর্থোপেডিক্স, ট্রমা ও স্পাইন সার্জন হিসেবে চেম্বার প্র্যাক্টিস করছেন । 

যাদের প্রতি কৃতজ্ঞ-
ডাঃ ফরিদুল ইসলাম জীবনের প্রতিটি ধাপে যাদের প্রতি কৃতজ্ঞ, তাদের গল্প যেন একেকটি আলো ছড়ানো প্রদীপ।
মা-বাবার প্রতি কৃতজ্ঞতা:
বাবা মোঃ আরশাদ আলী মোল্লা ছিলেন একজন কৃষক। এক অনাড়ম্বর জীবনযাপন করতেন, কিন্তু তাঁর স্বপ্ন ছিল বিশাল। ছেলেকে উচ্চশিক্ষিত করে সমাজের একজন সম্মানিত মানুষ হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন। ছোটবেলায় বাবার হাত ধরে ক্ষেতের মধ্যে হাঁটা, কৃষিকাজের নানা গল্প শোনা ছিল ফরিদুলের নিত্যসঙ্গী। বাবা হয়তো জানতেন না মেডিকেলের কঠিন পথচলা কেমন, কিন্তু এক মুহূর্তের জন্যও ছেলের স্বপ্নের পথে বাধা হতে চাননি।
মা জহুরা বেগম ছিলেন সংসারের মূল স্তম্ভ। অর্থের টানাটানি থাকলেও ছেলের পড়াশোনায় কখনো যেন ঘাটতি না হয়, সেটাই ছিল তাঁর একমাত্র চাওয়া। সংসারের নানা অভাব-অনটনের মাঝেও তিনি ছেলের বই, খাতা আর স্বপ্নের পথচলা নিশ্চিত করেছেন।
শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা:
শিক্ষকদের প্রতি তিনি অনেক কৃতজ্ঞ । কিছু 
ঘটনা ফরিদুলের মনে এমন দাগ কেটেছিল যে, পরবর্তী সময়ে যখন তিনি একজন প্রতিষ্ঠিত চিকিৎসক হয়ে উঠলেন, তখনও সেই শিক্ষকদের খোঁজখবর রাখেন। তাঁর বিশ্বাস, মানুষ যদি তার জীবনের শিক্ষকদের ভুলে যায়, তবে সে কখনোই প্রকৃত শিক্ষিত হতে পারে না।


কলেজে থাকাকালীন সময়ে বই কেনার সামর্থ্য ছিল না । শিক্ষকরাই তাকে ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, ভোটানির বই কিনে দিয়েছেন । জীবনের পথচলা সহজ ছিল না। অর্থের টানাপোড়েনের বিষয়টা তার শিক্ষকরাও জানতো ।
পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা:
ডাঃ ফরিদুল যখন উচ্চশিক্ষার জন্য দেশ থেকে বিদেশ পাড়ি দিলেন, তখন পরিবারের সঙ্গে দূরত্ব বেড়ে গেল। স্ত্রী ডাক্তার শায়লা ইসলাম নিজের ক্যারিয়ারের অনেক সুযোগ বিসর্জন দিয়েছেন, শুধু যাতে সংসারটা ঠিক থাকে, ছেলেমেয়ে যেন বাবার ভালোবাসার অভাব অনুভব না করে। তিনি পোস্ট-গ্রাজুয়েট না করেও পরিবারের দায়িত্বকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন।
তাঁর মেয়ে ওর্য়াদা ইসলাম আদিবা ও ছেলে শাহদাব ইসলাম জাহীন—এরা বাবার জন্য অপেক্ষা করে, রাতের পর রাত। কিন্তু বাবাকে তারা খুব কমই সময় পায়। অনেক রাত কাটে অপারেশন থিয়েটারে, যেখানে মানুষের জীবন বাঁচানোই প্রধান কাজ।
এই দীর্ঘ পথচলায় যদি পরিবারের সাপোর্ট না থাকতো, তবে ফরিদুল ইসলাম কখনো এতদূর আসতে পারতেন না। তিনি বিশ্বাস করেন, একজন মানুষের সফলতার পেছনে পরিবারের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। আজও যখন তিনি ক্লান্ত শরীরে ঘরে ফেরেন, ছেলেমেয়ের হাসি দেখে সব ক্লান্তি যেন উড়ে যায়।

তিনি বিশ্বাস করেন,

“শিক্ষার কোনো সীমা নেই। তা শিখতে হয় মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত।”

তিনি মনে করেন, জীবনে মানুষকে কেবল উপকারই করা দরকার না, ক্ষতি না করাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর শিক্ষকেরা যেমন তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, তিনিও তেমনিভাবে তাঁর ছাত্রদের জন্য কিছু করতে চান। কোন ছাত্রের অভাব থাকলে যেন স্যারের সাথে কথা বলেন ।
এই কারণেই তিনি আজও আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে চিকিৎসা নিতে না পারা রোগীদের ফ্রি চিকিৎসা দিতে কার্পণ্য করেন না। কারণ, তিনি জানেন কষ্ট কাকে বলে।

এমন এক মানবিক ডাক্তার, যিনি শুধু একজন চিকিৎসক নন, একজন সত্যিকারের মানবসেবকও। তাঁর জন্য, তাঁর পরিবারের জন্য এবং তাঁর শিক্ষকদের জন্য রইলো অগণিত শুভকামনা।

২২ বছর ধরে নোয়াখালীতে থাকছেন। নোয়াখালীবাসীর ভালোবাসায় সিক্ত এই মানুষটির একটাই লক্ষ্য—মানবসেবা।এমন একজন স্বপ্নবাজ মানবিক ডাক্তারকে নোয়াখালীর মানুষ মুবারকবাদ জানায়।

চেম্বার-০১ঃ প্রাইম হসপিটালস লিঃ

চৌমুহনী: চৌমুহনী চৌরাস্তা, বেগমগঞ্জ, নোয়াখালী।
সাক্ষাত : প্রতিদিন দুপুর ২:৩০ মিঃ- বিকাল ৩:৩০ পর্যন্ত

চেম্বার- ০২ঃ প্রাইম হসপিটালস লিঃ

মাইজদীঃ হাসাপাতাল রোড, মাইজদী, নোয়াখালী।
সাক্ষাত : বিকেল ৪.০০ থেকে রাত ৯.০০ পর্যন্ত

Scroll to Top